সূরা আন-নাযিআ’ত
মক্কায় অবতীর্ণ , আয়াত সংখ্যাঃ ৪৬
----------------------------------------------
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
وَالنَّازِعَاتِ غَرْقًا
শপথ সেই ফেরেশতাগণের, যারা ডুব দিয়ে আত্মা উৎপাটন করে, [সুরা নাযিআ’ত: ১]
وَالنَّاشِطَاتِ نَشْطًا
শপথ তাদের, যারা আত্মার বাঁধন খুলে দেয় মৃদুভাবে; [সুরা নাযিআ’ত: ২]
وَالسَّابِحَاتِ سَبْحًا
শপথ তাদের, যারা সন্তরণ করে দ্রুতগতিতে, [সুরা নাযিআ’ত: ৩]
فَالسَّابِقَاتِ سَبْقًا
শপথ তাদের, যারা দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয় এবং [সুরা নাযিআ’ত: ৪]
فَالْمُدَبِّرَاتِ أَمْرًا
শপথ তাদের, যারা সকল কর্মনির্বাহ করে, কেয়ামত অবশ্যই হবে। [সুরা নাযিআ’ত: ৫]
يَوْمَ تَرْجُفُ الرَّاجِفَةُ
যেদিন প্রকম্পিত করবে প্রকম্পিতকারী, [সুরা নাযিআ’ত: ৬]
تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ
অতঃপর পশ্চাতে আসবে পশ্চাদগামী; [সুরা নাযিআ’ত: ৭]
قُلُوبٌ يَوْمَئِذٍ وَاجِفَةٌ
সেদিন অনেক হৃদয় ভীত-বিহবল হবে। [সুরা নাযিআ’ত: ৮]
أَبْصَارُهَا خَاشِعَةٌ
তাদের দৃষ্টি নত হবে। [সুরা নাযিআ’ত: ৯]
يَقُولُونَ أَئِنَّا لَمَرْدُودُونَ فِي الْحَافِرَةِ
তারা বলেঃ আমরা কি উলটো পায়ে প্রত্যাবর্তিত হবই- [সুরা নাযিআ’ত: ১০]
أَئِذَا كُنَّا عِظَامًا نَّخِرَةً
গলিত অস্থি হয়ে যাওয়ার পরও? [সুরা নাযিআ’ত: ১১]
قَالُوا تِلْكَ إِذًا كَرَّةٌ خَاسِرَةٌ
তবে তো এ প্রত্যাবর্তন সর্বনাশা হবে! [সুরা নাযিআ’ত: ১২]
فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ
অতএব, এটা তো কেবল এক মহা-নাদ, [সুরা নাযিআ’ত: ১৩]
فَإِذَا هُم بِالسَّاهِرَةِ
তখনই তারা ময়দানে আবির্ভূত হবে। [সুরা নাযিআ’ত: ১৪]
هَلْ أتَاكَ حَدِيثُ مُوسَى
মূসার বৃত্তান্ত আপনার কাছে পৌছেছে কি? [সুরা নাযিআ’ত: ১৫]
إِذْ نَادَاهُ رَبُّهُ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى
যখন তার পালনকর্তা তাকে পবিত্র তুয়া উপ্যকায় আহবান করেছিলেন, [সুরা নাযিআ’ত: ১৬]
اذْهَبْ إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى
ফেরাউনের কাছে যাও, নিশ্চয় সে সীমালংঘন করেছে। [সুরা নাযিআ’ত: ১৭]
فَقُلْ هَل لَّكَ إِلَى أَن تَزَكَّى
অতঃপর বলঃ তোমার পবিত্র হওয়ার আগ্রহ আছে কি? [সুরা নাযিআ’ত: ১৮]
وَأَهْدِيَكَ إِلَى رَبِّكَ فَتَخْشَى
আমি তোমাকে তোমার পালনকর্তার দিকে পথ দেখাব, যাতে তুমি তাকে ভয় কর। [সুরা নাযিআ’ত: ১৯]
فَأَرَاهُ الْآيَةَ الْكُبْرَى
অতঃপর সে তাকে মহা-নিদর্শন দেখাল। [সুরা নাযিআ’ত: ২০]
فَكَذَّبَ وَعَصَى
কিন্তু সে মিথ্যারোপ করল এবং অমান্য করল। [সুরা নাযিআ’ত: ২১]
ثُمَّ أَدْبَرَ يَسْعَى
অতঃপর সে প্রতিকার চেষ্টায় প্রস্থান করল। [সুরা নাযিআ’ত: ২২]
فَحَشَرَ فَنَادَى
সে সকলকে সমবেত করল এবং সজোরে আহবান করল, [সুরা নাযিআ’ত: ২৩]
فَقَالَ أَنَا رَبُّكُمُ الْأَعْلَى
এবং বললঃ আমিই তোমাদের সেরা পালনকর্তা। [সুরা নাযিআ’ত: ২৪]
فَأَخَذَهُ اللَّهُ نَكَالَ الْآخِرَةِ وَالْأُولَى
অতঃপর আল্লাহ তাকে পরকালের ও ইহকালের শাস্তি দিলেন। [সুরা নাযিআ’ত: ২৫]
إِنَّ فِي ذَلِكَ لَعِبْرَةً لِّمَن يَخْشَى
যে ভয় করে তার জন্যে অবশ্যই এতে শিক্ষা রয়েছে। [সুরা নাযিআ’ত: ২৬]
أَأَنتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ السَّمَاء بَنَاهَا
তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন? [সুরা নাযিআ’ত: ২৭]
رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوَّاهَا
তিনি একে উচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন। [সুরা নাযিআ’ত: ২৮]
وَأَغْطَشَ لَيْلَهَا وَأَخْرَجَ ضُحَاهَا
তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এর সূর্যোলোক প্রকাশ করেছেন। [সুরা নাযিআ’ত: ২৯]
وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا
পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন। [সুরা নাযিআ’ত: ৩০]
أَخْرَجَ مِنْهَا مَاءهَا وَمَرْعَاهَا
তিনি এর মধ্য থেকে এর পানি ও ঘাম নির্গত করেছেন, [সুরা নাযিআ’ত: ৩১]
وَالْجِبَالَ أَرْسَاهَا
পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, [সুরা নাযিআ’ত: ৩২]
مَتَاعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ
তোমাদের ও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপকারার্থে। [সুরা নাযিআ’ত: ৩৩]
فَإِذَا جَاءتِ الطَّامَّةُ الْكُبْرَى
অতঃপর যখন মহাসংকট এসে যাবে। [সুরা নাযিআ’ত: ৩৪]
يَوْمَ يَتَذَكَّرُ الْإِنسَانُ مَا سَعَى
অর্থাৎ যেদিন মানুষ তার কৃতকর্ম স্মরণ করবে [সুরা নাযিআ’ত: ৩৫]
وَبُرِّزَتِ الْجَحِيمُ لِمَن يَرَى
এবং দর্শকদের জন্যে জাহান্নাম প্রকাশ করা হবে, [সুরা নাযিআ’ত: ৩৬]
فَأَمَّا مَن طَغَى
তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে; [সুরা নাযিআ’ত: ৩৭]
وَآثَرَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا
এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, [সুরা নাযিআ’ত: ৩৮]
فَإِنَّ الْجَحِيمَ هِيَ الْمَأْوَى
তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। [সুরা নাযিআ’ত: ৩৯]
وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَى
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, [সুরা নাযিআ’ত: ৪০]
فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَى
তার ঠিকানা হবে জান্নাত। [সুরা নাযিআ’ত: ৪১]
يَسْأَلُونَكَ عَنِ السَّاعَةِ أَيَّانَ مُرْسَاهَا
তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, কেয়ামত কখন হবে? [সুরা নাযিআ’ত: ৪২]
فِيمَ أَنتَ مِن ذِكْرَاهَا
এর বর্ণনার সাথে আপনার কি সম্পর্ক ? [সুরা নাযিআ’ত: ৪৩]
إِلَى رَبِّكَ مُنتَهَاهَا
এর চরম জ্ঞান আপনার পালনকর্তার কাছে। [সুরা নাযিআ’ত: ৪৪]
إِنَّمَا أَنتَ مُنذِرُ مَن يَخْشَاهَا
যে একে ভয় করে, আপনি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবেন। [সুরা নাযিআ’ত: ৪৫]
كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَهَا لَمْ يَلْبَثُوا إِلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَاهَا
যেদিন তারা একে দেখবে, সেদিন মনে হবে যেন তারা দুনিয়াতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক সকাল অবস্থান করেছে। [সুরা নাযিআ’ত: ৪৬]
0 comments:
Post a Comment