মাযহাব সম্পর্কিত আলোচনায় প্রথমে জানতে হবে ফিকহ কি?
ফিকহ (আরবি ভাষায়: الفقه) হলো ইসলামি আইনশাস্ত্র, যা অধ্যয়নের মাধমে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সকল বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জানা যায়। কুরআন ও হাদীসের মৌলিক বিধানগুলোর যে প্রায়োগিক রূপ হলো ফিকহ শাস্ত্র।
এর আভিধানিক অর্থ হলো উপলব্ধি করা, গভীরভাবে কিছু বুঝতে পারা, অনুধাবন করা, সূক্ষ্মদর্শিতা ইত্যাদি। ইসলামের পরিভাষায় ফিকহ হলো এমন শাস্ত্র, যার মাধ্যমে ইসলামের উৎসমূহ তথা কুরআন ও হাদীস থেকে বিস্তারিত প্রমাণসহ ব্যবহারিক জীবনের বিভিন্ন বিধি-বিধান ও ইসলামি সমাধান জানা যায়। ফিকহ শব্দটি এই অর্থেই বেশি প্রসিদ্ধ। তবে বর্তমানে আরবি ভাষায় আইনশাস্ত্রকেই ফিকহ বলা হয়, সেটা ইসলামি আইনশাস্ত্র হোক অথবা অন্য কোন আইনশাস্ত্র হোক।
উৎসসমূহ
ইসলামের সকল বিধানের মৌলিক উৎস চারটি। এই চারটি উৎস ছাড়া কোন বিধান কোন বিধান প্রণয়ন সম্ভব নয়। এই চারটি উৎস হলো: কুরআন, হাদিস, ইজমা, কিয়াস। এই চারটি মৌলিক উৎস ছাড়াও অন্যান্য কিছু উৎসও রয়েছে।
ইসলামের সকল বিধানের মৌলিক উৎস চারটি। এই চারটি উৎস ছাড়া কোন বিধান কোন বিধান প্রণয়ন সম্ভব নয়। এই চারটি উৎস হলো: কুরআন, হাদিস, ইজমা, কিয়াস। এই চারটি মৌলিক উৎস ছাড়াও অন্যান্য কিছু উৎসও রয়েছে।
কুরআন
ইসলামি আইনের মূল ভিত্তি ও উৎস হলো কুরআন। ইসলামি আইনবিজ্ঞানে কুরআনের অবস্থান হলো প্রচলিত আইনবিজ্ঞানে সংবিধানের অবস্থানের মতো। কুরআনে বেশিরভাগ আইনের ক্ষেত্রেই সংক্ষিপ্ত মৌলিক আলোচনা করা হয়েছে। যেমন, কুরআনে নামাজ ও যাকাতের আদেশ করা হয়েছে। কিন্তু এগুলোর সময়, পরিমাণ ও নিয়ম-কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়নি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কুরআনে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেমন মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন, হদ এবং যে সকল নারীদের সাথে বিবাহ অবৈধ। কুরআনে যেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়নি সেগুলো জানার জন্য হাদিসের সহায়তা নিতে হয়।
হাদিস
হাদিসের শাব্দিক ও পারিভাষিক বিভিন্ন অর্থ আছে। কিন্তু ইসলামি আইনবিজ্ঞানের ভাষায় হাদিস বলে বোঝানো হয় এমন বিষয়কে, কথা, কাজ কিংবা আচরণের মাধ্যমে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে যা সম্পর্কে সম্মতি অথবা নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত রয়েছে। ইসলামি আইনে পরিভাষায় কখনো কখনো হাদিসের সমার্থক হিসেবে “সুন্নাত” শব্দটিও ব্যবহার করা হয়। আইনের উৎস হিসেবে হাদিসের স্থান কুরআনের পরের স্তরে। কারণ, হাদিসের মাধ্যমে কুরআনের বিভিন্ন বিধানের ব্যাখ্যা দেয়া হয়। কিন্তু হাদিস আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে কুরআন থেকে স্বতন্ত্র। কারণ, হাদিসে এমন বহু বিধান উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পর্কে কুরআনে কোন আলোচনা করা হয়নি। তবে হাদিস থেকে যে কোন বিধার আহরণের জন্য হাদিসটিকে অবশ্যই হাদিস বিশারদগণের কাছে মানোত্তীর্ণ হতে হবে। নইলে সে হাদীস থেকে বিধান গ্রহণ কিংবা প্রণয়ন করা যাবে না।
ইজমা
ইজমা (আরবিতে:إجماع) অর্থ ঐক্যমতে পৌঁছা। ইসলামি আইনের পরিভাষায় ইজমা বলা হয়, কোন বিষয়ে ইসলামি আইনবিদগণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তকে। এই ঐক্যমত্য মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যু-পরবর্তী যে কোন সময় বা যুগেই হতে পারে। ইসলামি আইনের উৎস হিসেবে ইজমার অবস্থান হাদিসের পরে। ইজমা শরীয়তের মৌলিক উৎস হওয়া কুরআন ও হাদীসের বক্তব্য দ্বারা প্রমাণিত। ইজমা দ্বারা সাব্যন্ত বিধান সমূহের একটি হলো, মৃতব্যক্তি শুধুমাত্র পিতা ও এক সন্তান রেখে মারা গেলে সম্পত্তি বন্টনের বিধানটি।
কিয়াস
দুই বিষয়ের বাহ্যিক বা অর্থগত সামঞ্জস্যবিধানকে কিয়াস বলে। অর্থাৎ এমন নতুন বিষয় যার বিধান কুরআন-হাদিসে নেই কিন্তু তার মতো অন্য আরেকটি বিষয়ের বিধান সেখানে আছে। কখন কুরআন-হাদিসে উল্লেখিত বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য থাকার কারণে অনুল্লেখিত বিষয়ের সমাধান সেখান থেকে আহরণ করাকে কিয়াস বলা হয়। কিয়াসের অবস্থান ইজমার পরে।
মূল আলোচনায় আসা যাক
আপনারা ইতিমধ্যে “ফিকহের” পরিচয় পেয়েছেন তবুও এবার আরো একটা বিষয় লক্ষ্য করুন। আমরা ইতিমধ্যেই শুনেছি যে কুরআন-সুন্নাহর হুকুম-আহকামের সুবিন্যস্ত সংকলনই হচ্ছে “ফিকহ”। এই “ফিকহের” একাধিক সংকলন বিদ্যমান ছিল, যার মধ্যে বর্তমান কাল পরযন্ত সুধু চারটি সংকলনই মক্কা-মদিনা তথা দুনিয়ার সব দেশেই স্হায়ীত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সেই সংকলনগুলো হচ্ছে-
১. “ফিকহে হানাফী”- যার সংকলনের ভিত্তি স্হাপনের কাজটি ইমাম আযম আবু হানীফা (রহ.) (জন্ম ৮০ হিজরী- মৃত্যু ১৫০ হিজরী) এর হাতে সুসম্পন্ন হয়েছে।
২. “ফিকহে মালেকী”- যার সংকলনের ভিত্তি স্হাপিত হয়েছে ইমাম মালেক (রহ.) (জন্ম ১৪০ হিজরী- মৃত্যু ১৭৯ হিজরী) এর হাতে ।
৩. “ফিকহে শাফেয়ী”- ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইদরীস শফেয়ী (রহ.) ((জন্ম ১৫০ হিজরী- মৃত্যু ২০৪ হিজরী) যার ভিত্তি রেখেছেন।
৪. “ফিকহে হাম্বলী”- ইমাম আহমেদ ইবনে হাম্বল (রহ.) (জন্ম ১৬৪ হিজরী- মৃত্যু ২৪১ হিজরী) এর ভিত্তি রেখেছেন।
২. “ফিকহে মালেকী”- যার সংকলনের ভিত্তি স্হাপিত হয়েছে ইমাম মালেক (রহ.) (জন্ম ১৪০ হিজরী- মৃত্যু ১৭৯ হিজরী) এর হাতে ।
৩. “ফিকহে শাফেয়ী”- ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইদরীস শফেয়ী (রহ.) ((জন্ম ১৫০ হিজরী- মৃত্যু ২০৪ হিজরী) যার ভিত্তি রেখেছেন।
৪. “ফিকহে হাম্বলী”- ইমাম আহমেদ ইবনে হাম্বল (রহ.) (জন্ম ১৬৪ হিজরী- মৃত্যু ২৪১ হিজরী) এর ভিত্তি রেখেছেন।
সাধারণ পরিভাষায় ফিকহের প্রত্যেকটি সংকলণ “মাযহাব” নামে পরিচিত। বলা বাহুল্য এখানে “মাযহাব” শব্দটির অর্থ “ফিকহে মাযহাব” তথা ফিকহের নির্দিষ্ট একটি সংকলন। এখানে “মাযহাব” অর্থ দ্বীন বা আকাইদ বিষয়ে মতবিরোধকারী কোন “ফির্কা” নয়। কেননা ফেকহের এই মাযহাবগুলোর প্রতিটিই দ্বীন ইসলাম এবং শরীয়তের অধীন এবং শরীয়ত অনুযায়ী চলারই একাধিক পথ। এই মাযহাবের ইমামগণ সবাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদার উপরই ছিলন এবং সব ধরনের ভ্রান্ত আকীদা থেকে মুক্ত ছিলেন। তাদের অনুসারীরা সবাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মত ও পথেরই অনুগামী। তবে বিভিন্ন সময় এমন হয়েছে যে, আকীদাগতভাবে বিভ্রাস্ত বিদআতী লোকেরা ফিকহের ক্ষেত্রে এসে উপরোক্ত চার মাযহাবের কোন একটির অনুসারী হয়েছে, বলা বাহুল্য, তাদের বিদআতী আকীদা বিশ্বাসের কোন দায়-দায়িত্বই তাদের; মাযহাবের ইমাম, তাদের সংকলিত ফিকহ, এবং তাদের অনুসারীদের ইপর বর্তায় না।
“মাযহাব” অর্থ: এই ফিকহী মাযহাবের মাধ্যমে কুরআন-হাদীসের আহকাম জানা এবং তদনুযায়ী আমাল করাকে সাধারণ পরিভাষায় “তাকলিদ” বলে। অর্থাৎ, দ্বীন ও শরীয়তের ক্ষেত্রে ফকীহগণের শরনাপন্ন হওয়ার যে আদেশ মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে করেছেন, এবং নবীয়ে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতকে করেছেন তাদেরই সংকলিত ফিকহ থেকে কুরআন-হাদীসের হুকুম জেনে সে অনুযায়ী আমল করাকেই সাধারণ পরিভাষায় “তাকলীদ,” বা “মাযহাব মানা” কিংবা ”ফিকহ অনুসরণ করা” বলে।
আপনি যদি ফিকহের পরিচয় পেয়ে তাকেন তাহলে আপনাকে আর বলে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না যে, “তাকলীদ” বৈধ কি অবৈধ বা ফিকহ অনুযায়ী আমল করার বিধান কি? কিংবা কোন ফিকহী মাযহাবের অনুসরণ কার ভালো না মন্দ? ফিকহের পরিচয় জানার সাথে সাথেই এ বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, কুরআন-হাদীস অনুসরণ করার সঠিক সহজ এবং নিরাপদ পথটি হল, ফিকহের আলোকে, ফুকাহায়ে কেরামের নির্দেশনা অনুযায়ী আমল করা। সহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে আজ পরযন্ত মুসলিম উম্মাহর মধ্যে এই পদ্ধতিই সর্বজন স্বীকৃত ও অনুসৃত।
মাযহাব পালনের কথা কেন বলা হয়?
যেহেতু কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে আলেম খুবই নগণ্য। যারাও আছে তারা কুরআনে কারীমের কোন আয়াতের হুকুম রহিত হয়ে গেছে, কোন আয়াতের হুকুম বহাল আছে, কোন আয়াত কোন প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছে, কোন আয়াত কাদের উদ্দেশ্য করে নাজিল হয়েছে। কোন আয়াতাংশের প্রকৃত অর্থ কি? আরবী ব্যাকরণের কোন নীতিতে পড়েছে এই বাক্যটি? এই আয়াত বা হাদীসে কী কী অলংকারশাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে? ইত্যাদী সম্পর্কে বিজ্ঞ হন না। সেই সাথে কোনটি সহীহ হাদীস কোনটি দুর্বল হাদীস? কোন হাদীস কি কারণে দুর্বল? কোন হাদীস কী কারণে শক্তিশালী? হাদীসের বর্ণনাকারীদের জীবনী একদম নখদর্পনে থাকা আলেম এখন নাই। অথচ হাদীসের বর্ণনাকারী শক্তিশালী না হলে তার দ্বারা শরয়ী হুকুম প্রমাণিত হয়নালনের কথা এই জন্য বলা হয় যে, যেহেতু কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে আলেম খুবই নগণ্য। যারাও আছে তারা কুরআনে কারীমের কোন আয়াতের হুকুম রহিত হয়ে গেছে, কোন আয়াতের হুকুম বহাল আছে, কোন আয়াত কোন প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছে, কোন আয়াত কাদের উদ্দেশ্য করে নাজিল হয়েছে। কোন আয়াতাংশের প্রকৃত অর্থ কি? আরবী ব্যাকরণের কোন নীতিতে পড়েছে এই বাক্যটি? এই আয়াত বা হাদীসে কী কী অলংকারশাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে? ইত্যাদী সম্পর্কে বিজ্ঞ হন না। সেই সাথে কোনটি সহীহ হাদীস কোনটি দুর্বল হাদীস? কোন হাদীস কি কারণে দুর্বল? কোন হাদীস কী কারণে শক্তিশালী? হাদীসের বর্ণনাকারীদের জীবনী একদম নখদর্পনে থাকা আলেম এখন নাই। অথচ হাদীসের বর্ণনাকারী শক্তিশালী না হলে তার দ্বারা শরয়ী হুকুম প্রমাণিত হয়না।
এই সকল বিষয়ে প্রাজ্ঞ ব্যক্তি পাওয়া দুস্কর। একেতু অধিকাংশ মানুষই আলেম না। আর মুষ্টিমেয় যারা আলেম তারাও উল্লেখিত সকল বিষয় সম্পর্কে প্রাজ্ঞ নয়। তাই আমাদের পক্ষে কুরআন সুন্নাহ থেকে সঠিক মাসআলা বের করা অসম্ভব।
: একটি উদাহরণ
এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন-اقيموا الصلاة তথা সালাত কায়েম কর। আরেক আয়াতে বলেছেন-إِنَّ اللَّهَ وَمَلائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ তথা নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা এবং ফেরেস্তারা নবীজীর উপর সালাত পড়ে। এই আয়াতের শেষাংশে এসেছে-يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا তথা হে মুমিনরা তোমরাও তাঁর উপর সালাত পড় এবং তাঁকে সালাম জানাও। {সূরা আহযাব-৫৬}
এই সকল স্থানে লক্ষ্য করুন-“সালাত” শব্দটির দিকে। তিনটি স্থানে সালাত এসেছে। এই তিন স্থানের সালাত শব্দের ৪টি অর্থ। যেমন :- নামায, রহমত, দুরূদ।
এখন বলেনতো একজন সাধারণ পাঠক বা সাধারণ আলেম এই পার্থক্যের কথা কিভাবে জানবে? সেতো নামাযের স্থানে বলবে রহমাতের কথা, রহমতের স্থানে বলবে দরূদের কথা, দরূদের স্থানে বলবে নামাযের কথা। এরকম করলে দ্বীন আর দ্বীন থাকবে না, হবে জগাখিচুরী।
এরকম অসংখ্য স্থান আছে, যার অর্থ উদ্ধার করা কঠিন। তাই একজন বিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ ব্যক্তির শরাপন্ন হয়ে তার গবেষনা অনুযায়ী উক্ত বিষয়ের সমাধান নেয়াটাই হল যৌক্তিক। এই নির্দেশনাই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে দিয়েছেন- {فَاسْأَلوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لا تَعْلَمُونَ} [النحل:43]তথা তোমরা না জানলে বিজ্ঞদের কাছে জিজ্ঞেস করে নাও। {সূরা নাহল-৪৩}
বিজ্ঞ ফুক্বাহায়ে কিরাম কুরআন সুন্নাহ, ইজমায়ে উম্মাত, এবং যুক্তির নিরিখে সকল সমস্যার সমাধান বের করেছেন। আর তাদের অনুসরণের নির্দেশ সরাসরি আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে দিয়েছেন।
মুজতাহিদ হলেন কুরআন সুন্নাহ, সাহাবাদের ফাতওয়া, কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে বিজ্ঞ ব্যক্তিদের ঐক্যমত্বে এবং যুক্তির নিরিখে কুরআন সুন্নাহ থেকে মাসআলা বেরকারী গবেষক দলের নাম। যারা নিষ্ঠার সাথে বিভিন্ন মূলনীতি নির্ধারণ করে কুরআন সুন্নাহর বাহ্যিক বিপরীতমুখী মাসআলার মাঝে সামাঞ্জস্যতা এনেছেন। কুরআন সুন্নাহর একাধিক অর্থবোধক শব্দের নির্ধারিত পালনীয় অর্থকে নির্ধারিত করে দিয়েছেন। নতুন উদ্ভূত মাসআলার শরয়ী মূলনীতির আলোকে সমাধান বের করেছেন। সেই সাথে নতুন নতুন মাসআলার কোন মূলনীতির আলোকে হুকুম আরোপিত হবে যার বিধান সরাসরি কুরআন সুন্নাহে বর্ণিত নেই, সেই মূলনীতিও নির্ধারিত করেছেন। মূলত সেই গবেষক দলের নাম হল মুজতাহিদ। করেছেন। সেই সাথে নতুন নতুন মাসআলার কোন মূলনীতির আলোকে হুকুম আরোপিত হবে যার বিধান সরাসরি কুরআন সুন্নাহে বর্ণিত নেই, সেই মূলনীতিও নির্ধারিত করেছেন। মূলত সেই গবেষক দলের নাম হল মুজতাহিদ।আর তাদের উদ্ভাবিত মূলনীতির আলোকে বের হওয়া মাসআলার নাম মাযহাব।
0 comments:
Post a Comment